মালদা

সময় মতো বাস পৌছাল না হাসপাতালে মৃত্যু হল পথ দুর্ঘটনায় আহত ব্যাক্তির

মানুষের জন্য আইন।আইনের জন্য মানুষ নয়। কোন মানুষর প্রান সব কিছুর উর্দ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে পথ দূর্ঘটনায় আহত যে কোন ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখালো উত্তরবঙ্গ পরিবহন সংস্থার বাসের চালক গৌতম কুমার রায় ও কন্ডাক্টর সমির গড়াই।এমনি ঘটনার সাক্ষী রইল মালদা। এদিন অটো ও মোটর চালিত ভ্যানের রেশারেশিতে পথ দূর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যাক্তির। ঘটনায় গুরুত্বর আহত ব্যাক্তিকে মালদা গামী একটি সরকারী বাসে তুলে দেওয়া হলে ওই বাসটি হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ডিপুতে ঢুকে যাওয়ায় এরপরেই মৃত্যু হল ওই ব্যাক্তির। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা থানার আদিনা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। ঘটনায় জাতীয় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মালদা থানার পুলিশ। মৃত ব্যাক্তির নাম রৌফ শেখ।কুতুব নগরের বাসিন্দা ওই ব্যাক্তি। 

জানা গিয়েছে জাতীয় সড়কে এদিন অটো ও মোটর চালিত ভ্যান যাত্রী তোলার জন্য রেশারেশি করে মালদার দিকে আসছিল। সেই সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাড়িতে ধাক্কা লাগলে মোটর চালিত ও ভ্যানের। যাত্রীটি জাতীয় সড়কে পরে অটোর ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়। সেই সময় কোন যানবাহন না পাওয়ায় ওই আহত ব্যাক্তিকে বালুরঘাট মালদা গামী একটি সরকারী বাসে তুলে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে ওই আহত ব্যাক্তিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে মালদা ডিপোতে দীর্ঘক্ষন ফেলে রাখা হয়। এরপরেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদা ও ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।

  পরিবারে লোকেদের অভিযোগ তাকে বাস ডিপতে না নিয়ে গিয়ে প্রথম হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার প্রাণ বাঁচানো যেত।